নয়াডাক ডেস্ক : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নে পাগলা মহিষের তান্ডবে ৫ জন আহন হয়েছে । এর মধ্যে ১ জন গুরুত্বর আহত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরন করা হয়েছে বলে জানা যায়। আহতরা হলেন উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের বোশখালী গ্রামের মৃত জুম্মান গাজীর পুত্র আব্দুল হামিদ (৬২) , গ্রাম্য চিকিৎসক অনিমেষের স্ত্রী সবিতা রানী (৩০) , নূরুজ্জামান জামুর পুত্র মোঃ ইব্রাহিম (২৫) , মোঃ করিম গাজীর পুত্র মোঃ বিল্লাল হোসেন ( পাগলা বিল্লাল ২৪) এবং জয়াখালী গ্রামের সমশের মোড়লের পুত্র মিজানুর মোড়ল (৩৫)। এর মধ্যে বিল্লাল গুরুত্বর আহত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এলাকা সূত্রে জানা যায় , মহিষের মাংস খাওয়ার জন্য এলাকাবাসী মহিষটি ক্রয় করে। ০৬ ই জানুয়ারী ( সোমবার ) সকাল ৭ টায় জয়াখালী চেয়ারম্যান মোড়ে মহিষটাকে জবাই করার প্রস্তুত করার সময় অসাবধানতা অবশত দড়ি থেকে ছুটে বোশখালী গ্রামের ভিতর দিয়ে চার জনকে আহত করে বিলে যায় এবং বিলে আরও একজনকে গুরুত্বর ভাবে আহত করে হিংস্র মহিষটি। তাৎক্ষনিক ভাবে হিংস্র মহিষের তান্ডবের বিষয়টি ছড়িয়ে পরে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৈখালী ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তাকে হিংস্র মহিষের তান্ডবের বিষয়টি অবগত করা । স্থানীয় জনগন মহিষটাকে আটক করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। অবশেষে দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয় ড্যাম্পার ড্রাইভার সোহেলের সহযোগিতায় হিংস্র মহিষটিকে জব্দ করতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন , বিষয়টি জানার পরে বন বিভাগ , শ্যামনগর থানা পুলিশ , উপজেলা প্রাণি সম্পদ এবং ফায়ার সার্ভসকে অবগত করা হয়। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস যায়। তবে স্থানীয়রা মহিষটাকে জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। এ জন্য পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন , আমি বিষয়টি জানার পরে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলি। স্থাণীয় ভাবে মহিষটাকে আটক করা হয়েছে। হিংস্র মহিষের তান্ডবে বেশ কয়েজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে হতে বিল্লাল নামক একজন প্রতিবন্ধীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরন করা হয়েছে।