নয়াডাক ডেস্ক : ১৯ শে ফেব্রুয়ারী ( সোমবার) সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী বাজার চত্ত¡রে প্লাস্টিক ব্যবহারে ক্ষতির বিষয় নিয়ে জেলে ও সাধরণ জনগনের সাথে আলোচনা করেন কৈখালী ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা সজল কুমার দ্বীপ। জানা যায়, মাছের দেহে মাইক্রো প্লাস্টিকক নামক জীবাণু পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওয়ান টাইম প্লেড-গ্লাসে এই জীবানুর কারন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওয়ান টাইম প্লেড-গ্লাস পানিতে ফেলার পরে মাছে প্লেড গ্লাস ঠুকরে ঠুকরে খায়। যার ফলে মাছের মাইক্রো প্লাস্টিক নামক জীবাণু তৈরি হয়। মাইক্রো প্লাস্টিক ফাঁকা মাছের দেহে থাকা অবস্থান খেলে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মাইক্রো প্লাস্টিক খাওয়ার ফলে মাছ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। সমুদ্র ও নদীতে যার ফলে বিভিন্ন প্রজাতির মাসের প্রজনন মতা হ্রাস পায়। ফলে মাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জন স্বচেতনার জন্য ভেটখালী বাজারে সাধারন মানুষের মাঝে আলোচনা রাখেন পশ্চিম সুন্দরবনের কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা সজল কুমার দ্বীপ। তিনি বলেন , নদীর পাশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সুন্দরবনে পর্যটকেরা প্রবেশ করে প্লাস্টিকের অন টাইম প্লেড-গ্লাস ব্যাবহার করার পরে নদীতে ফেলে দেয়। ঐ প্লেড -গ্লাস নদীর পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকে, যার ফলে নদীর মাছে ঠুকরে ঠুকরে খায়। মাছে প্লাষ্টিক খাওয়ার ফলে মাছের দেহে মাইক্রো প্লাস্টিক জীবানু তৈরী হয়। তখন মাছের প্রজনন মতা হ্রাস পায়। যার কারনে এই ভরা মৌসুমেও পারসে , চিংড়ী সহ বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের যে পরিমান পোনা দেখা যেতো তা এখন অনেকাংশে কমে গেছে। তিনি আরও বলেন ঐ মাছ মানুষে খেলে ক্যান্সার সহ অন্যান্য মরনব্যাধি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। প্লাস্টিকের প্লেড – গ্লাসের বদলে কাগজের তৈরী প্লেড -গ্লাস ব্যাবহার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন অনুষ্টানে দ্রুত পচনশীল কাগজের তৈরী প্লেড গ্লাস ব্যবহার করতে হবে। আর যে সব অনুষ্টানে প্লাষ্টিকের প্লেড-গ্লাস ব্যবহার করা হয় তা পানিতে ফেলা যাবে না। বরং ঐ গুলো পুড়িয়ে দিতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নয়াডাক পত্রিকার সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, নির্বাহী সম্পাদক , সীমান্ত প্রেস কাবের সভাপতি নুরুন্নবী ইমন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাংবাদিক জি,এম,মহাসীন হুদাসহ স্থানীয় ভেটখালী বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও জেলেরা।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।