* রাষ্ট্রপতি আমার কাছের মানুষ ।
* জামাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের চাকুরী করে ।
* আমি যা খুশি তাই করলে আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।
নয়াডাক ডেস্ক : সাতক্ষীরা সদর সেটেলমেন্ট অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সফিউল্যাহ বিচারিক এজলাসে বসে বিচার প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে দম্ভ উক্তি করে বলেছেন তার জামাতা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাকুরী করেন এবং রাষ্ট্রপতি তার কাছের মানুষ, তিনি যা খুশি তাই করলে তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। গত কাল ১৭অক্টোবর সকালে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ভৈরবনগর মৌজার নাটিমখালী খাস খালের জমির ৩১ ধারার বিচার কাজ চলাকালে তিনি এমন উক্তি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শ্যামনগর উপজেলার নাটিমখালী খাস টি সরকারী ১ নং খাস খতিয়ানের এস এ ২২০ দাগে। এই খালের একটি অংশ জনৈক আঃ হামিদের নামে ১৯৮৮ সালে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। খাল দখল করে ভরাট করার ফলে ভৈরবনগর বিল সহ আশ পাশের বিলের দুই হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধ হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হতে থাকে। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকার পক্ষ কাবিখ সহ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে খালটি ২০১৩ সালে রমজাননগর ইাউনিয়ন পরিষদ থেকে খনন করা হয়। এদিকে আঃ হামিদ ২০১৩ সালে এই খালটি তার বন্দোবস্ত মূলে রেকড পাওয়ার জন্য ৩১ ধারায় ৪৬২৬০/১৩ নং আপীল কেস করলে তা বিচারে খারিজ হয়ে যায়। এই খারিজ আদেশ গোপন করে আঃ হামিদ পুনরায় ৩১ ধারায় ৬৩৮৪২/২২ নং আপীল কেস দায়ের করে। এই আপীল কেসটি সাতক্ষীরা সদর অফিসের সেটেলমেন্ট অফিসার সফিউল্যার নিকটে শুনানীর সময় শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হাজির হয়ে লিখিত আপত্তি দাখিল করেন। লিখিত আপত্তিতে তিনি একবার আপীল খারিজ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তাছাড়া রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়াডের ইউ, পি সদস্য সোহরব হোসেন জনস্বার্থ পানি নিস্কাষনের খালটি ব্যাক্তি মালিকানায় রেকড দিলে ২ হাজার বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি হবে বলে দাবি করলে সেটেলমেন্ট অফিসার তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্তে খালটি খনন করা হয়েছে প্রমান পেলেও তা গোপন করে প্রতিবেদন দিয়ে খালটির একটি অংশ আঃ হামিদের নামে রেকড দেওয়া হয়। একই জমি নিয়ে একবারের বেশি আপীল করার আইনগত সুযোগ নেই। ৩১ ধারার আপীল খারিজ হলে ৪২(ক) ধারায় রিভিউ করার সুযোগ আছে কিন্ত আপীল খারিজ হওয়ার পরে পুনরায় আপীলে বিচার করার কোন প্রকার সুযোগ না থাকার পরেও আপীল অফিসার ব্যাক্তিগত সুবিধা নিয়ে ৬৩৮৪২/২২ নং আপীল কেসের বিচার করে আঃ হামিদের নামে খাল টির একটি অংশ রেকড দিয়েছেন। এই কেসেরে শুনানীর সময় সরকার পক্ষে ইউ পি সদস্য সোহরাব হোসেন ও ভুিম কর্মকর্তা আইনুল ইসলাম আপত্তি জানালে সেটেলমেন্ট অফিসার সফিউল্যাহ বিচারিক এজলাসে বসে বলেন তান জামাতা প্রধান মন্ত্রীন দপ্তরে চাকুরী করে এবং রাষ্ট্রপতির সাথে তার বিরাট খাতির, তিনি যা খুশি তাই করতে পারেন, কেউ তার কিছুই করতে পারবে না। এসব ঘটনা উল্লেখ করে ইউ পি সদস্য সোহরাব হোসেন ভুমি মন্ত্রনাল ও ভুমি জরিপ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সেটেলমেন্ট অফিসার সফিউল্যাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কি ভুল বলেছি? আপনাদের যদি বিশ্বাস না হয় খোজ নিয়ে দেখেন আমার জামাতা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আই টি সেকশনে চাকুরী করে। ঘটনার বিষয়ে ভুমি কর্মকর্তা আইনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বন্দোবস্তের কবুলিয়াত দলিলে শর্ত আছে সরকারী প্রয়োজনে নিতে পারবে তাই খাল খনন করা হয়েছে। তাছাড়া এই খালটি আমার অফিসের রেজিঃ-৮ এ এই খালটি জলমহল হিসাবে লিপিবদ্ধ আছে যা বাংলা ১৪০৫ সাল পর্যন্ত ইজারা দেওয়া হয় পরবর্তিতে এরাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা বিবেচনা করে খালটি উম্মুক্ত করা হয়। পাবলিক ইজমেন্ট ব্যক্তি মালিকানায় কিভাবে রেকড দিলেন তা তিনি জানেন না।