আমিরুল ইসলাম কাগজী : আমরা বেশ আগে থেকেই বলে আসছিলাম জামায়াত এখন বিএনপির জন্য বোঝা। জামায়াতকে ত্যাগ ছাড়া বিএনপি সামনে এগিয়ে যেতে পারবে না। বিভিন্ন সেক্টরে জামায়াত ঢুকে পড়ে বিএনপিকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলছে ।পেশাজীবী সংগঠনগুলো আজ জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন আর সাংবাদিক ইউনিয়ন বলেন এমনকি বেসামরিক প্রশাসন বলেন সবখানেই এখন জামায়াতের আধিপত্য ।সুচতুর জামায়াত নেতারা এসব পেশাজীবি সংগঠনে নিজেরা নেতৃত্বে না থেকে বরং ম্যাডামের কাছের লোকদের নেতৃত্বে বসিয়ে দেখাতে চান যে এটা বিএনপির সংগঠন। আসলে এই এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে জামায়াত তার দল গঠনের কাজটি গুছিয়ে নিচ্ছে । যেমন সাংবাদিক ইউনিয়নে নেতৃত্বে রাখা হয়েছে ম্যাডামের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদকে । তার মানে এই ইউনিয়ন বিএনপির।কিন্তু সাংবাদিকরা জানেন এই ইউনিয়ন জামায়াত নিয়ন্ত্রিত।জামায়াত যাকে সমর্থন দেবে সেই হবেন নেতা ।একই অবস্থা রাজশাহী,ঢাকা,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ।জামায়াতের দাপটে এখন আর বিএনপি শিক্ষকদের খুজে পাওয়া যাবেনা ।বিএনপির ভেতর থেকে এভাবে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্রের কথা বলতে বলতে আমরা মুখে ফেনা তুলে ফেলেছি । কিন্তু কে শোনে কার কথা। তবে কথায় বলে কাঙ্গালের কথা বাসি হলে ফলে। এখন যখন বুদ্ধিজীবীরা মুখ খুলেছেন এবং জামায়াত ছাড়ার চাপ দিচ্ছেন তখন সন্বিত ফিরে পেয়েছেন ম্যাডাম ।
অবশ্য এজন্য ম্যাডামকে বেশি দোষ দেওয়া যায় না । কারন ম্যাডামের অনেক পরামর্শক আছেন যারা জামায়াতের অর্থে রিষ্টপুষ্ট এবং জমায়াত প্রেমিক । তারা চান ম্যাডাম থাকুন জামায়াতকে নিয়ে এবং উদারপন্থী বিএনপির ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্কিত হোক তাহলে আখেরে জামায়াতেরই লাভ।যে রাজনৈতিক দলটি পরগাছার মত বিএনপির কাধে ভর করে এই পযর্ন্ত এসেছে সেই দলটিই কিনা আজ মূল দলকে খেয়ে ফেলতে চায়এবং সেটা বিএনপির ভেতর থেকেই একটি চক্র উসকে দিচ্ছে ।আজ যখন জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্ব মনে করে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছে তখন তখন জামাতপ্রেমিকরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে । এ পরিস্থিতিতে বিএনপির ভোটের রাজনীতির হিসাব বাদ দিয়ে আপাতত অস্তিত্ব রক্ষার রাজনীতি করা উচিত।
আজ ম্যাডাম যদি জাতীয় ঐক্যের সম্মেলনের ডাক দেন এবং সেখানে যদি ড.কামাল হোসেন,আসম আবদুর রব,কাদের সিদ্দিকী,কর্ণেল অলি আহমদ,মাহমুদুর রহমান ,ড. বি,চৌধুরীরা যোগ দেন তাহলে এর গুরুত্ব আন্তর্জাতিক বিশ্বে অনেক বেশি । এর বিপরীতে ভোটের চিন্তা করে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সম্মেলন করলে এবং সেখানে উপরে উল্লেখিত নেতারা যদি যোগ না দেন তাহলে সেটা জঙ্গী সম্মেলনে রূপ নেবে ।আর বিশ্ব দরবারে বিএনপি হবে ব্রাকেটবন্ধী।এখন সময় এসেছে ম্যাডামের সিদ্ধান্ত নেবার ।এই মুহুর্তে ভোটের চেয়ে দলের ভাবমূর্তি চাঙ্গা করাই জরুরি ।বিএনপির ভোটের বাজার অতীতে কখনও খারাপ ছিল না ভবিষ্যতেও খারাপ হওয়ার কারণ দেখি না ।
মনে রাখতে হবে রাজনীতির হিসাব এক আর ভোটের হিসাব অন্য।ভোট যখন আসবে তখন না হয় ভোটের হিসাব করা যবে ,এই মুহুর্তে রাজনীতিটাই জরুরি ।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।