নয়াডাক ডেস্ক : চিনে বাড়ছে ভাইরাস – আতঙ্ক। শীতরে মুখে সে-দেশে একাধিক ভাইরাস বিস্তার করেছে থাকে। এর মধ্যে HMPV বাড়ন্ত সবচেয়ে বেশি বলে জানা গিয়েছে। এই ভাইরাস নাকি বেশ সংক্রামক। ইতিমধ্যেই নাকি আক্রান্ত বহু শিশু ও কিশোর। এই খবর সামনে আসতেই সকলের মনে ফিরছে কোভিড – স্মৃতি। ২০১৯ সালে এই চিনেরই ইউহান প্রদেশে প্রথম হানা দেয় কোভিড। সেখান থেকেই ছড়ায় কোভিড । তারপরের ইতিহাস সবারই জানা। তাই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সকলের মনে। এরই মধ্যে এইচএমপিভি নিয়ে বার্তা দিয়েছে ভারতের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান Directorate General of Health Services (DGHS) ।
চীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি। যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে করে যেকোনো সময়ে দেশটি জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে বলেও দাবি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের।
দেশটিতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা। বিশেষ করে আগে যাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল, তাঁরা নতুন এই ভাইরাসের আক্রমণে নাজুক অবস্থায় আছেন।
জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৫ বছর আগে, ২০২০ সালে এভাবেই চিন থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড-১৯। গোটা বিশ্বে চলেছিল মৃত্য মিছিল। । লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থনীতি। এই নিয়ে অবশ্য চিন এখনও তেমন কোনও আশঙ্কার কথা শোনায়নি।