নয়াডাক প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শ্যামনগরের ভেটখালী বাজারে গত শুক্রবার কৈখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নেতৃত্বে ভেটখালী বাজার পেরিফেরীর দোকান ঘর উচ্ছেদ চেষ্টা বিফল হয়েছে। ভেটখালী বাজারের ব্যাবসায়ী মৃত ওমর ফারুকের পুত্র আসরাফ আলী জানান তার পিতা সরকারের নিকট থেকে ৩২৮/০৭-০৮ নং চান্দিনা লাইসেন্স মূলে দোকান ঘর তৈরী করে ব্যাবসা করে আসছিলেন। এই দোকান ঘরটি তার দাদার আমলের। সরকার পেরিফেরী ভুক্ত করার পর থেকে সরকারের নিকট থেকে বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে প্রতি বছর সরকারের ট্যাস্ক প্রদান করছেন। প্রায় তিন বছর আগে হরিনগর সড়কের কাজ চলার সময় রাস্তার পাশের সকল দোকান ঘরের সামনের অংশ থেকে রাস্তার জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। ওমর ফারুকের দোকান ঘরের একটি আংশও রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে বক্রি অংশে কাজ করতে সামথ্য না থাকায় এত দিন কাজ করতে পারিনি। চলতি বছর দোকান ঘর টির পুরাতন ফাউন্ডেশনের উপর কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসক অফিসের গত ১৪ জুলাই ৮২৯ নং স্বারকের অনুমতি পত্র নিয়ে তিনি দোকান ঘরের কাজ করছিলেন। এ সময় সাংবাদিক পরিচয়ে তার কাছে কয়েকজন টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার বৈধ কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। এ দিকে কৈখালী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা সুধীন কুমার সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওমর ফারুকের বৈধ কাগজ পত্র আছে এবং তিনি কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি পেয়েছেন। তবে উদ্ধতন অফিসারের নির্দেশে তিনি রায়নগর নৌ পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে দোকান ঘরটি উচ্ছেদ করতে জান। এ সময় তিনি উচ্ছেদ কাজের জন্য শ্যামনগর থেকে লেবার নিয়ে আসেন। কিন্তু ঘটনা স্থলে গিয়ে কাগজের বাধায় উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্দ হয়ে যায়। তবে আপাতত কাজ বন্দ রাখার ব্যাবস্থা করেছেন। চান্দিনা লাইসেন্স বহাল থাকতে এবং চলতি বছরের ট্যাস্ক নেয়ার পরেও তিনি কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া উচ্ছেদ করতে পারেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মৌখিক নির্দেশে তিনি উচ্ছেদ করতে গিয়েছিলেন। বাজারের ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ তাদের দোকান ঘরের কাজ করতে গেলে চাদা দিতে হবে। চাদা দিলে কাগজ না থাকলে ও প্রশাসনিক বাধা নেই। আর চাদা না দিলে বৈধ কাগজেও বাধা। এ ঘটনা সুধু ওমর ফারুকের দোকানে ঘটছে এমনটা নয়। সবাই একই ঘটনার স্বীকার। ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য শ্যামনগরের ইউ, এন ও এর সরকারী মোবাইল নং বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।