ডেস্ক রিপোট : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কোষ্ট গার্ডের কৈখালী পশ্চিম জোনের কয়েকজন পোশাকধারী সদস্যর লাঠির আঘাতে আহত হয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে অসহায় বেশ কয়েকজন জেলে । ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত অনুমান ৩টার সময় শ্যামগরের রমজাননগর ইউনিয়নের মাদার নদীতে। আহত জেলেরা হচ্ছে শ্যামনগরের কালিঞ্চি গ্রামের মৃত ইউছুফ মোল্যার স্ত্রী ফরিদা বেগম , দাউদ গাজীর পুত্র জহুর আলী ও মনিরদ্দীন গাজীর পুত্র মোশরফ। আহত জেলে ও প্রতক্ষদর্শীরা বলেন বুধবার রাত অনুমান ৩ টায় সময় এই জেলেরা পেটের দায়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। এ সময় কোষ্ট গার্ডের বোড যোগে কয়েকজন কোষ্ট গার্ডের সদস্য জেলেদের নৌকার পাশে গিয়ে তাদের কে অশ্লিল ভাষায় গালি গালাচ করে এবং সুন্দরবনের গরান কাঠের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে। এ সময় কোষ্ট গার্ডের সদস্যদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জহুর আলী নাম জেলে কোষ্ট গার্ডের সদস্যের পায়ে ধরতে গেলে তাকে জুতা পায়ে বুকে ও পিঠে লাথি দিয়ে গুরুত্বর আহত করা হয়। জেলেদেরকে মারপিট করে কোষ্ট গার্ডের সদস্যরা তাদের জাল তুলে নিয়ে চলে যায়। আহত জেলেদের মধ্যে জহুর আলী এর অবস্থা আশংখ্যা জনক। আহত ফরিদা বলেন তার স্বামী মারা যাওয়ার পরে তিনি ৪ টি নাবালক সন্তান এর মুখে ভাত তুলে দিতে নদীতে মাছ ধরা ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই। জহুর আলী ও মোশরফ পরিবার নিয়ে নদীর চরে বসবস করেন। পরিবারের সদস্যদের মুখে ভাত তুলে দিতে নদীতে মাছ ধরা ছাড়া তাদেরও কোন উপায় নেই। ঘটনার বিষয়ে কোষ্ট গার্ডের পশ্চিম জোনের সি সি এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই অভিযানে তিনি ছিলেন না । তবে কোষ্ট গার্ডের সদস্যরা কোন জেলেকে আঘাত করতে পারে না। ঘটনার বিষয়ে রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আহত জেলেরা তার কাছে ঘটনাটি জানিয়েছেন। এধরনের ঘটনা প্রশাসনের কাছ থেকে কেউ আশা করেনা। তিনি বিষয়টি উপজেলা পরিষদের সভায় উপস্থাপন করে তদন্ত চাইবেন। শ্যামনগরের এই এলাকায় পাশাপাশি ফরেষ্ট, বিজিবি, নৌ পুলিশ ও কোষ্টগাড এর অফিস। কিন্তু গরানের লাঠি হাতে জেলেদের উপর আক্রমন করতে শুধুু কোষ্টগাড কে দেখা যায়। অন্য কোন বাহিনীকে এধরনের অভিযান চালাতে দেখেনী বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জেলেরা। তার আরও বলেন আমরা যদি অপরাধ করে থাকি তাহলে তার জন্য আইন আছে । কিন্ত আমাদেরকে লাঠি পেটা করতে হবে এটা কোন আইনে আছে তা আমরা জানি না। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। পাশাপাশি ৪/৫ টি বাহিনী একই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করার ক্ষমতা থাকায় তাদের মাঝে সমন্বয়হীনতার অভাব ও দেখা গেছে। বিশেষ করে লোকালয়ের নদীতে ইউনিয়ন পরিষদ ও ভুমি প্রশাসনের এখতিয়ারাধীন হওয়ার পরেও লোকাল প্রশাসনের সাথে কোষ্ট গার্ডের কোন সমন্বয় না থাকায় মাঝে মাঝে রিবোধ দেখা দিচ্ছে যার কু- ফল সাধারন জেলেরা ভোগ করছে। ভুক্তভোগী জেলেরা আরও বলেন , একই নদীতে কৈখালী সীমান্তে বহু জেলে জাল ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে। সেখানে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না।আমরা বহু বছর ধরে নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যাওয়ায় আমরা পরিবার নিয়ে মানবেতার জীবন যাপন করছি। বিষয়টি নজরে নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানান ভুক্তভোগী জেলেরা।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।