ডেস্ক রিপোট : সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের মরাগাং বনটহল ফাঁড়ীর ফরেষ্টার শাহাদাৎ হোসেন ও আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে কলেজ শিক্ষার্থীকে ম্লীতাহানী ও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ফরেষ্টার শাহাদাৎ হোসেন ও আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখত অভিযোগ করেন বলে নয়াডাক প্রতিনিধি জানান। অভিযোগে জানা যায়, মরগাং বনটহল ফাঁড়ীর দুইজন বনকর্মী শাহাদাত হোসেন ও আলতাপ হোসেন চুনকুড়ী গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত মহিলার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে দীর্ঘ দিন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসত। কিন্তু তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে বাড়িতে সুন্দরবনের অবৈধ কাঠ লুকানো আছে বলে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। তারপর তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে একা পেয়ে জোর করে মুখ চেপে ধরে অপহরণের চেষ্টা করে।অভিযোগকারী আরো জানান, আসামিরা আমার কন্যার ঘরে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুই হাত ধরে টানাটানি করে শ্লীতাহানী ঘটায়। স্বামী পরিত্যক্ত ঐ মহিলার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী তাদের উদ্বার করে। পরে স্থানীয় ঐ মহিলা বিষয়টি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার ভাই নজরুল ইসলাম মোড়ল বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে মরাগাং ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ওসি জাহিদ হাসান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি । ওরা নাকি দীর্ঘ দিন যাওয়া আসা করত। পরে শুনলাম রাতে যাওয়ার পরে স্থানীয়রা তাদের আটকে রেখেছে। স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করেও নিয়েছে। এবিষয় আলতাপ ও শাহাদতের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগোর চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। মুন্সীগন্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল বলেন, বিষয়টা তেমন কিছু না । উভয়ের মধ্যে ভুলবোঝা বুঝি সেটা মিমাংসা করে দিয়েছি। তারপরও যদি কোন অভিযোগ করে থাকে তদন্ত করে যা হওয়ার তা হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।