ডেস্ক রিপোট : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের ভূয়া রিপোর্টে এক নবজাতক বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে আছে এবং প্রশ্রুতি মায়ের অবস্থাও আশাংকা জনক। ভূয়া রিপোর্ট ও স্ত্রী ,সন্তানের জীবন হানিসহ ক্ষতি পুরনের দাবি করে ভুক্তোভুগি উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের আলহাজ্ব মোঃ হেদায়েত মোল্যার পুত্র মোঃ মাহবুর রহমান মোল্যা মহা-পরিচালক , স্বাস্থ্য অধিদপ্তর , জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা , উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্যামনগর , পরিচালক , শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অফিসার ইনচার্জ , শ্যামনগর থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায় , মাহবুরের স্ত্রী মোছাঃ খাদিজা খাতুন (২৫) অন্তসত্বা হওয়ার পরে তাকে ০৫/০৮/২০২০ দুপুর ১২ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার রিডা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাই আল্ট্রাসনো করার জন্য। রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ তার স্ত্রীকে ভর্তি করে আল্ট্রাসনো করে বলেন বাচ্চার ওজন ৩ কেজি ৪৪ গ্রাম এবং রোগীর অবস্থা ভালো না। উক্ত আল্ট্রাসনো করেন অত্র হাসপাতালে দায়িত্বর এম.বি.এস ডাক্তার কার্নিস ফাতিমা। এ সময় কর্তৃপক্ষ মাহবুরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখিয়ে তাৎনিক সিজার করাতে বলে এবং অপারেশনে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। মাহবুর রিডা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত টাকা জোগাড় না করতে পেরে উক্ত রিপোর্ট নিয়ে শ্যামনগর হাসপাতালে গেলে তারা খাদিজাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। তখন এ্যাম্বুলেন্সে করে সাতক্ষীরা নিয়ে যাওয়ার পথে খাদিজা ভীতু হয়ে শারিরীক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এসময় তাকে কালিগঞ্জের যমুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং যমুনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খাদিজার অবস্থা বিবেচনা করে রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী সিজার করে । সিজার করার পরে দেখা যায় বাচ্চার ওজন ১ কেজি ৮০০ গ্রাম এবং চোখ ফোটেনি। বর্তমানে মাহবুরের সন্তানটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে এবং স্ত্রীর অবস্থাও সংকটাপন্ন। ডেলিভারী হওয়ার সময় না হলেও ভূয়া রিপোট দিয়ে রিডা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাহবুবের স্ত্রী ও নবজাতকের জীবন সংকটাপন্ন করে তোলে। এ বিষয়ে রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের ভূয়া রিপোর্টে ক্ষতিগ্রস্ত করায় মাহবুর ক্ষতি পুরন আদায়সহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন ।