সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনিয়নের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে থানায় মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম পুলিশের মহাপরিদর্শক ও পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার বৈশখালী গ্রামের আব্দুল মজিদ গাজীর পুত্র মহিবুল্লাহ গত ১ল জানুয়ারি বাড়ী থেকে ভেটখালী যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। বৈশখালি গ্রামের বরকত মোল্লার পুত্র রশিদ মোল্লার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন মহিবুল্লাহর পথ রোধ করে তার নিকট থেকে ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এবং মহিবুল্লাহকে মারপিট করে ব্যাপকভাবে আহত করে। হবিবুল্লাহকে উদ্ধার করতে তার না ঘটনাস্থলে আসলে তারা মাকেও দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনায় মহিবুল্লার বাবা আঃ মজিদ বাদী হয়ে গত ৩রা জানুয়ারি শ্যামনগর থানায় মামলা দায়ের করেন যার থানার মামলা নং ৪/৪ । মামলার এজাহারে মহিবুল্লার বাবা বলেন তারা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য আসতে গেলে তাদের হাসপাতালে যেতে সন্ত্রাসীরা প্রতিরোধ করে। তখন তারা কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম এর কাছে মোবাইল ফোনে সাহায্য চান। চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। আব্দুর রশিদ পরদিন ৪ জানুয়ারি শ্যামনগর থানায় চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম কে ১ নম্বর আসামি করে নারী অপহরণের দায়ে এক মামলা দায়ের করেন। আঃ রশিদের কন্যা দুই সন্তানের জননি পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত আমজাদ গাজীর পুত্র বিল্লালের স্ত্রীকে ভিকটিম দেখানো হয়েছে। বিল্লালের পরিবার সুত্রে জানা গেছে তার দুই পুত্রকে দেশে রেখে তারা স্বামী স্ত্রী প্রায় ৭/৮ বছর যাবত ভারতের চেন্নাই শহরে কাজ করে। তারা মাঝে মাঝে বাড়ি আসে আবার ভারতে যায়। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বিল্লালের শ্বশুর মিথ্যা মামলা করেছেন বলে দাবী করেন চেয়ারম্যান শেখ আঃ রহিমসহ এলাকার সুধি মহল। এ দিকে শ্যামনগর থানায় রশিদ মল্যা নিজ মেয়েকে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে অপহরন করা হয়েছে বলে এজহারে আঃ মজিদ ও তার দুই পুত্র মহসিন ও মহিবুল্লাহ এবং জামাতা আমিনুরকে আসামী করেছেন। চেয়ারম্যান শেখ আঃ রহিম ও তার আপন বড় ভাই আঃ রহমানকে ও আসামী করা হয়েছে। অর্থাৎ পিতা, পুত্র, জামাতা ও আপন ভাই ভাই মিলে একজন নারীকে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে অপহরন করা হয়েছে বলে শ্যামনগর থানার নিয়মিত মামলার আসামী আঃ রশিদের থানায় হাজির হয়ে দেওয়া অভিযোগে মামলা দায়ের প্রশ্ন বিদ্ধ বলে অভিযোগ এনেছেন শেখ আঃ রহিম। তিনি বলেন একজন অহত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে সহয়তা করায় তার নামে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের এবং শ্যামনগর থানার এস আই আইনুদ্দীন মিথ্যা মামলা জেনে শুনে তার বাড়িতে রেড দিয়ে তাকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। ঘটনার বিষয়ে এস আই আইনুদ্দীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের বাড়ীতে অভিযান চালান।